দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম যেন আর থামছেই না। টানা মূল্যবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে দামি এই ধাতুর বাজার। বাজুস নির্ধারিত সর্বশেষ দামে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরিপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা যা দেশের ইতিহাসে অন্যতম সর্বোচ্চ।
গত ৮ অক্টোবর প্রতি ভরিতে ৬ হাজার ৯০৬ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। আজও সেই সমন্বিত দামেই বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। সংগঠনটির দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধি এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা বিবেচনায় নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দামের তালিকা অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরিপ্রতি দাম ২ লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭১ হাজার ৮৮ টাকা। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ এখন বিক্রি হচ্ছে ভরিপ্রতি ১ লাখ ৪২ হাজার ৩০১ টাকায়।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ সরকারি ভ্যাট ও বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরিতে ভিন্নতা থাকতে পারে।
এর আগে ৭ অক্টোবর বাজুস স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল। সেদিন ভরিপ্রতি ১ হাজার ৪৬৯ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ২ হাজার ১৯৫ টাকা, যা সে সময় পর্যন্ত ছিল সর্বোচ্চ।
এ নিয়ে চলতি বছর ৬৩ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এর মধ্যে ৪৫ বার দাম বেড়েছে, আর কমেছে মাত্র ১৮ বার। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬২ বার, যেখানে ৩৫ বার দাম বেড়েছিল এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা, ডলারের দামের অস্থিরতা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে নিকট ভবিষ্যতেও দেশের বাজারে স্বর্ণের এই ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকতে পারে।
